কটেক্স বাইনারী ট্রেডিং এ যে যে কারণে লছ হয় পর্ব-২

Spread the love

এই ভুল গুলো সংশোধন করতে পারলেই আপনার ট্রেডিং লাইফ অনেকটা পরিবর্তন হয়ে যাবে।

আমাদের ব্যালেন্স টাকা থাকলে আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে আর ভাবিনা যে এই টাকা লছ হয়ে গেলে করনীয় কি হবে। যখন ব্যালেন্স শেষ হয়ে যায় তখন আমাদের জ্ঞ্যান ফিরে। কিন্তু ব্যালেন্স টাকা থাকা অবদি আমরা কখনো ভাবিই না।যতক্ষন পর্যন্ত ব্যালেন্স খালি না হয় ততক্ষন পর্যন্ত চলতে থাকে ট্রেড প্লেজ করা।

কি কি কারণে ট্রেডিং এ লছ হয়?

১। অভার ট্রেডিং: আপনি যত বড় এক্সপার্ট ই হন না কেন অভার ট্রেডিং করলে লছ নির্চিত। কেননা অভার ট্রেডিং এর কারণে, লোভ, ইমোশন, সাইক্লোজি কোন কিছুই কাজ করে না।

২। লোভ: ধরুন আপনি একদিনে ১০০$ থেকে ৫০০$ বানানোর পরিকল্পনা নিয়ে ট্রেডিং এ বসলেন নির্চিত আপনি লছ করবেন। প্রথীবিতে এমন কোন বিজনেস নাই যে সমপরিমাণ লাভ আপনাকে দিবে। কিন্তু এ ব্যবসায় দেয় আর অতিরিক্ত লাভ পাওয়ার কারণে আমরা আরো চাই আরো চাই। কিন্তু চাইতে চাইতে চালান গায়েব করে ফেলি।

৩। ইমোশন কন্ট্রোল: ধরুন আপনি ট্রেডিং করতে বসলেন পর পর দুই তিন টা লছ হয়ে গেলো চুপচাপ মার্কেট থেকে বেরিয়ে পরুন। তাহলে অল্প লছ নিয়ে উঠে আসতে পারবেন যদি সেই লছ তুলতে বড় ট্রেড প্লেজ করেন কোন কারণে সেটিও লছ হয়ে গেলো তাহলে নির্চিত আপনার ইমোশন নষ্ট হয়ে যাবে। তখন ইমোশন কন্ট্রোল না করতে পেরে আপনার সর্বোচ্চ ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।

৪। ট্রেড প্লেজ করা: নতুনরা রাস্তা ঘাটে যেখানে সেখানে ট্রেড প্লেজ করে থাকেন। আরে ভাই এভাবে ট্রেড প্লেজ করলে এক সময় আসবে আবার এক সময় চলে যাবে। দীন শেষে লছ এই থাকবেন। তাই যখন তখন ট্রেড প্লেজ করা থেকে বিরত থাকুন।

৫। ট্রেড এন্ট্রি: নতুনরা ভাবে এখন ডাউন যাবে বা আপ যাবে। এটা শয়তান তাকে ধোকা দেয় আরে ভাই নিজের মন দিয়ে যদি ট্রেডিং হইত তাহলে সবাই ট্রেডার হইতো। মার্কেট কি বলছে সেটার উপর নির্ভর করে ট্রেড প্লেজ করবেন। মন কি বলছে সেটার উপর ট্রেড প্লেজ করলে লছ নির্চিত।

৬। অন্যর ট্রেডিং দেখা: সবচেয়ে বড় ক্ষতিকর অন্যর ট্রেডিং দেখে আমরা ট্রেড করি। আরে ভাই তার কাছে হাজার হাজার ডলার আছে। এখন সে ৫০০ ডলার ডিপোজিট করে ২০০ ডলারের এন্ট্রি নিতেই পারে। আপনার কাছে সব মিলিয়ে আছে ৫০০ ডলার তাহলে আপনি সেই ৫০০ ডিপোজিট করে ২০০ ডলারের এন্ট্রি নিলেন সেটা লছ হয়ে গেলো। পরের টা কোন কারনে লছ হলো এখন ব্যালেন্স ০০ পকেট ০। অন্যরা কে কি ভাবে ট্রেড নিচ্ছে সেটা দেখে নিজের সাথে কখনই তুলনা করবেন না এতে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।

৭। মানি ম্যানেজমেন্ট: আমরা কিছু পারি আর না পারি মানি ম্যানেজমেন্ট সবাই পারি কিন্তু এর পরেও দিন শেষে আমরা লছ করি। আসলে কি জানেন আমাদের যেভাবে মানি ম্যানেজমেন্ট শিখানো হয় সেটা আরো বড় ক্ষতির কারন। কেননা ১ টা লছ হলে পরের টা ডাবল দিয়ে এন্ট্রি নিতে বলে সেটা লছ হলে তার ডাবল নিতে পারে এভাবে ৩/৪ টা লছ হলে ব্যালেন্স একদম ০। আরে ভাই প্রথম ট্রেড লছ হয়েছে আপনার ধান্দা থাকতে হবে কোন রকম এই লছ টা রিকোভার করা। এরপর প্রফিট করা তাহলে আপনার ট্রেডিং লাইফ অনেক টা পরিবর্তন হবে বলে আশাবাদী।

৮। ট্রেডার দাবি করা: আমরা এক দুই দিন প্রফিট করে নিজেকে ট্রেডার দাবি করি কিন্তু এইটা যে আমাদের কত বড় ক্ষতি করে আমরা নিজেরাও জানিনা। আরে ভাই প্রফিট করেন ভালো কথা চুপচাপ থাকেন খুশিতে আমরা লছ করে ফেলি। একটা কথা আছে সাকসেস আসলে চুপ চাপ থাকো।

৯। মন খারাপের সময়: ধরুন প্রেমিকা, বউ, অথবা পারিবারিক সমস্যা মাথায় মানসিক চাপ এমন সময় ট্রেডিং করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এমনিতেই একটা টেনশনে আছেন এর মধ্যে আরেক টেনশন এড হলে মাথায় এমনিতেই খারাপ হয়ে যাবে। আর এ সময় আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়।

১০। ঘুমের সময়: ধরুন প্রচুর ঘুম পাচ্ছে এমন সময় আগে আমরা ফেসবুক চালাইতাম কিন্তু এখন ট্রেডিং করি। আরে ভাই এইটাই সমস্যা মাথাকে স্থির রাখুন। ঘুমিয়ে নিন ট্রেডিং করার অনেক সময় পাবেন। একটা কথা আছে না ঘুমের সময় গাড়ি চালানো নিষেধ। ঘুম নিয়ে ট্রেডিং করলে এক্সিডেন্ট তো হবেই।

শেষ কথা

প্রয়োজনে সকল প্রকার সোস্যাল সাইট থেকে বিরত থাকুন বন্ধু বান্দব এর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিন নিজে চুপচাপ থাকুন আর ভাবুন আমি কি কি করলে একজন প্রফিটেবল ট্রেডার হতে পারবো। বেশি দিন না এভাবে এক দু মাস চেষ্টা করুন আমি কথা দিচ্ছি কেউ আপনাকে ঠেকাতে পারবে না। আমি নিজে প্রমাণিত। আমি বিগত ৩ মাসে এক দিন ও লছ করি নাই।

Leave a Comment